কুয়াকাটা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেনের রাস্তা নির্মাণ ও চীন সরকারের অর্থায়নে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ১ টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কুয়াকাটা পৌরসভার সামনে পর্যটন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পেশাজীবি, রাজনৈতিক ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় ।
এসময় বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ভাঙ্গা হইতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত সংকীর্ণ এই সড়কে প্রতিনিয়ত মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটছে। ফলে জানমালের ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। এই মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ব্যক্তিগত গাড়ীতে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছে। মহাসড়কটি অত্যান্ত সরু বিধায় ব্যাপক যানজটের কারণে ভাঙ্গা হইতে কুয়াকাটা পৌঁছাইতে ৬ ঘন্টার অধিক সময় ব্যয় হয়। পদ্মা সেতুর সুফল মূলত দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ ভোগ করতে পারতছেনা। পাশাপাশি কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের অংশ হিসেবে ৬ লেন রাস্তাটি আমাদের প্রাণের দাবি।
বক্তারা আরো বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল নিমার্ণ করবে যার একটি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় করার জন্য জোড় দাবি জানাই। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসলে চিকিৎসা সেবায় ক্ষোভ নিয়ে প্রতিনিয়ত গন্তব্য ফিরছেন পর্যটকরা। তাই পর্যটকদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষায়িত্বে হাসপাতালটি কুয়াকাটায় নির্মাণের দাবি করেন।
মানববন্ধনে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এবায়েদুল হক চান, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক), এর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি কলিম মাহমুদ , কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থরের পেশাজীবি, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন।