পটুয়াখালীর মহিপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পুত্রের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী মা নূরনেছা বেগম। সোমবার সন্ধ্যর দিকে মহিপুর থানার ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঐ রাতেই এ ঘটনায় আহত নূরনেছা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, জমি-জমা সংক্রান্ত জেরে পুত্র নূরুল-ইসলাম তার মাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন, এসময় লাঠির আঘাতে নূর নেছা বেগমের বাম হাত ভেঙে যায়। মারধর থামাতে গেলে নুরুল ইসলাম তার ছোটো ভাইয়ের বউ হামিদা বেগমকেও পিটিয়ে আহত করেন।পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা তুলাতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে কান্না জড়িত কন্ঠে আহত ষাটোর্ধ মাতা নূরনেছা বলেন, আমার তিন পুত্র একসাথে জমি ক্রয় করেছেন, সেই জমি এলাকার গণ্যমান্যরা বসে সমান ভাগে ভাগাভাগি করে দেন। পরে আমার ছোটে ছেলে সরোয়ার তার ভাগের জমিতে বেড়া দিতে গেলে নূরুল ইসলাম তাকে মারধর করেন। আমি থামাতে গেলে আমাকেও মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে ০১৭৪৩৭৪৪৭০৫ নম্বরে কল দিলে মাকসুদা নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, নুরুল ইসলাম দূরে রয়েছেন বলে কল কেটে দেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।