উপকূলীয় এলাকার সংকট নিরসনে হাওড়ের ন্যায় উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। শুধু ড্রেজিং নয়, নদী বাঁচাতে হলে অবশ্যই টিআরএম (জোয়ার-ভাটা) প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে। বিশেষ করে নদীর পলি এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেছেন খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মনজুর আলম। ‘উপকূলীয় সংকট নিরসনে করণীয়' বিষয়ক কর্মশালায় তিনি আরো বলেন, নদীর মাধ্যমে উপকূল বাঁচানো না গেলে উপকূলের সাথে সংযুক্ত জেলা, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নানা ভোগান্তি পোহাতে হবে। নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দীর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক আনজুম তাসনুভা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নূর আলম শেখ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান মুকুল, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, সাংবাদিক রণজিৎ কুমার বর্মন, রূপান্তরের তথ্য অফিসার শেখ আব্দুল হালিম, ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির সদস্য সচিব অনিল দাস, বাগেরহাট থেকে জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি শাহিদা আক্তার প্রমূখ।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার প্রথম দিনে উপকূলীয় উন্নয়ন, টেকসই অবকাঠামো, বেড়িবাঁধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা তাদের লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, একবার ব্যবহার্য্য প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষন, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ বাঁধ ব্যবস্থাপনা, আশ্রয়কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বসতবাড়ি নিয়ে দূর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।